সিলেট আজকালঃ স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য ১৫ টাকা কেজিতে চাল বিক্রি শুরু করবে সরকার।
রোববার থেকে খোলাবাজারে (ওএমএস) প্রতি
কেজি চাল ১৫ টাকা ও আটা ১৭ টাকায় বিক্রি করবে সরকার। প্রাথমিকভাবে দেশের
বিভাগীয় ও জেলা শহরগুলোতে তা চালু হবে।
খাদ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ওএমএস-এর
পাশাপাশি বুধবার থেকে ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রির খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিও
চালু হবে। চলতি সেপ্টেম্বর থেকে আগামী তিন মাস ৫০ লাখ হতদরিদ্র পরিবার ১০
টাকা কেজি দরে চাল পাবে।
জানা যায়, বর্তমানে সরকারের গুদামে প্রায়
সাড়ে ৪ লাখ টন খাদ্যশস্য মজুদ রয়েছে। এসব চালের বেশির ভাগ চট্টগ্রাম ও
খুলনাকেন্দ্রিক খাদ্যগুদামগুলোতে ছিল। কারণ, ভিয়েতনামসহ বিভিন্ন দেশ থেকে
চাল আমদানি করে তা চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দরে খালাস করে বন্দরকেন্দ্রিক
গুদামগুলোতে রাখা হয়। পরে তা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এ জন্য
দেরিতে শুরু হচ্ছে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি।
এদিকে আমদানি শুল্ক কমানোর পাশাপাশি
বাকিতে ঋণপত্র খোলার সুযোগ দিয়েও অস্থিরতা কমছে না চালের বাজারে। চালের
বাজার অস্থিতিশীল করতে একটি সিন্ডিকেট কাজ করছে বলে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল
ইসলাম। তিনি বলেন, চালের দাম ৭০ থেকে ৮০ টাকা হওয়ার কোনো কারণ থাকতে পারে
না। সরকারের কাছে চালের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে। একটি সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের
মাঝে অপপ্রচার চালাচ্ছে। ইতোমধ্যে চালের অবৈধ মজুদদারদের বিরুদ্ধে অভিযান
চালাতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারদের নির্দেশ
দেওয়া হয়েছে।
গত বোরো মৌসুমে হাওর অঞ্চলে অকাল বন্যা ও
অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগে বোরোর উত্পাদন কম হওয়ার পর থেকেই চালের দাম
বাড়তে শুরু করেছে। ঈদ-উল আজহার আগে কিছুদিন বাজার স্থিতিশীল থাকলেও ঈদের পর
আবার চালের বাজার অস্থির হয়ে উঠেছে। সব ধরনের চালে কেজি প্রতি ৩ থেকে ৫
টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। চালের আমদানি বাড়াতে গত এক মাসে আমদানিতে শুল্কহার ২৮
শতাংশ থেকে কমিয়ে ২ শতাংশ করা হয়েছে। কিন্তু এর কোনো প্রভাব নেই চালের
বাজারে।