স্টাফ রিপোর্টঃ মেলার নামে চলছে অবৈধ লটারির রমরমা বাণিজ্য। প্রতিদিন হাতিয়ে নেয়া
হচ্ছে লাখ লাখ টাকা। নগরীর অর্ধশতাধিক পয়েন্টে দৈনিক প্রভাত সুরমা র্যাফেল
ড্র নামে কুপন বিক্রি করা হয়। আকর্ষণীয় পুরস্কারের প্রলোভন দেখিয়ে ২০ টাকা
করে এ টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে। এভাবে বিমানবন্দর থানা পুলিশকে ম্যানেজ করে
একটি অসাধু চক্র বিপুল অর্থ হাতিয়ে নিতে প্রভাত সুরমা নামে লটারির আয়োজন
করেছে। প্রতিদিন ৮ থেকে ১০ লাখ টাকার টিকিট বিক্রি হয়। সূত্র জানায়, টিকিট
বিক্রির এ টাকার অংশ থানা পুলিশকে দেয়া হয়। আর রাতে লটারি হয়। লটারি
চলাকালে বিমানবন্দর থানার একদল পুলিশ উপস্থিত থাকে। নগরীর অলিগলিসহ আশপাশ
এলাকায় দুই শতাধিক ভ্রাম্যমাণ বুথে এসব টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে।
প্রকাশ্যে এসব টিকিট বিক্রি করা হলেও রহস্যজনক কারণে পুলিশ প্রশাসন নীরব রয়েছে। জানা গেছে, পুলিশকে ম্যানেজ করে প্রতিদিন সকাল থেকে ফেরি করে এসব টিকিট বিক্রি করে রাত ১০টার পর সিলেট সদর উপজেলার লাক্কাতুড়া মাঠে ড্র অনুষ্ঠিত হয়। তৃণমূল নারী উদ্যোক্তা সোসাইটির উদ্যোগে মাসব্যাপী ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প মেলা চলছে এ মাঠে। পুলিশি প্রহরায় এ র্যাফেল ড্র অনুষ্ঠিত হয়। এ ব্যাপারে এসএমপির বিমানবন্দর থানার ওসি মোশাররফ হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা যাতে অবনতি না হয় সেজন্য পুলিশ থাকে। লটারির অনুমতি আছে কিনা, জানতে চাইলে বলেন, অর্থমন্ত্রীর অনুমতি আছে। তবে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের ব্যক্তিগত সহকারী জাবেদ সিরাজ জানান, অসুস্থ এক মুক্তিযোদ্ধার ছেলের চিকিৎসার সহায়তার জন্য ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প মেলা আয়োজনের আবেদনে তিনি সুপারিশ করেছেন। কিন্তু লটারির কোনো অনুমতি কিংবা সুপারিশ দেননি। মেলার আয়োজক তৃণমূল নারী উদ্যোক্তা সোসাইটির সহ-সভাপতি শাহনাজ বেগম বলেন, সংগঠনের এক উপদেষ্টার ছেলের চিকিৎসার জন্য এ মেলার আয়োজন করা হয়েছে। মেলার স্থান লাক্কাতুড়া হওয়ায় লোকসমাগম ঘটাতে র্যাফেল ড্র’র আয়োজন করা হয়েছে। কত টাকায় ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টকে ইজারা দেয়া হয়েছে- এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা তার জানা নেই। তিনি সিলেট জেলার সমন্বয়কারী অথবা সংগঠনের সিইওর সঙ্গে কথা বলার অনুরোধ করেন। তৃণমূল নারী উদ্যোক্তা সোসাইটির প্রধান নির্বাহী পরিচালক হিমাংশু মিত্র বলেন, র্যাফেল ড্রসহ ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের ব্যয় বাদে যা থাকবে এ আয়টুকুর সমুদয় টাকা দেয়ার চুক্তি করা হয়েছে। নারী উদ্যোক্তা সোসাইটির কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা মারিয়ানা চৌধুরী মাম্মি জানান, অনুমতি নিয়ে মেলা করা হচ্ছে। একজন মুক্তিযোদ্ধার ছেলের চিকিৎসার সাহায্যের জন্যই এ মেলা।
প্রকাশ্যে এসব টিকিট বিক্রি করা হলেও রহস্যজনক কারণে পুলিশ প্রশাসন নীরব রয়েছে। জানা গেছে, পুলিশকে ম্যানেজ করে প্রতিদিন সকাল থেকে ফেরি করে এসব টিকিট বিক্রি করে রাত ১০টার পর সিলেট সদর উপজেলার লাক্কাতুড়া মাঠে ড্র অনুষ্ঠিত হয়। তৃণমূল নারী উদ্যোক্তা সোসাইটির উদ্যোগে মাসব্যাপী ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প মেলা চলছে এ মাঠে। পুলিশি প্রহরায় এ র্যাফেল ড্র অনুষ্ঠিত হয়। এ ব্যাপারে এসএমপির বিমানবন্দর থানার ওসি মোশাররফ হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা যাতে অবনতি না হয় সেজন্য পুলিশ থাকে। লটারির অনুমতি আছে কিনা, জানতে চাইলে বলেন, অর্থমন্ত্রীর অনুমতি আছে। তবে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের ব্যক্তিগত সহকারী জাবেদ সিরাজ জানান, অসুস্থ এক মুক্তিযোদ্ধার ছেলের চিকিৎসার সহায়তার জন্য ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প মেলা আয়োজনের আবেদনে তিনি সুপারিশ করেছেন। কিন্তু লটারির কোনো অনুমতি কিংবা সুপারিশ দেননি। মেলার আয়োজক তৃণমূল নারী উদ্যোক্তা সোসাইটির সহ-সভাপতি শাহনাজ বেগম বলেন, সংগঠনের এক উপদেষ্টার ছেলের চিকিৎসার জন্য এ মেলার আয়োজন করা হয়েছে। মেলার স্থান লাক্কাতুড়া হওয়ায় লোকসমাগম ঘটাতে র্যাফেল ড্র’র আয়োজন করা হয়েছে। কত টাকায় ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টকে ইজারা দেয়া হয়েছে- এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা তার জানা নেই। তিনি সিলেট জেলার সমন্বয়কারী অথবা সংগঠনের সিইওর সঙ্গে কথা বলার অনুরোধ করেন। তৃণমূল নারী উদ্যোক্তা সোসাইটির প্রধান নির্বাহী পরিচালক হিমাংশু মিত্র বলেন, র্যাফেল ড্রসহ ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের ব্যয় বাদে যা থাকবে এ আয়টুকুর সমুদয় টাকা দেয়ার চুক্তি করা হয়েছে। নারী উদ্যোক্তা সোসাইটির কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা মারিয়ানা চৌধুরী মাম্মি জানান, অনুমতি নিয়ে মেলা করা হচ্ছে। একজন মুক্তিযোদ্ধার ছেলের চিকিৎসার সাহায্যের জন্যই এ মেলা।