মো:ফয়জুর রহমান বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) এর সিলেট বিভাগের সর্বপ্রথম টেলিভিশন সাংবাদিক ছিলেন।সিলেট বিভাগের সাংবাদিকতার ১৪২ বৎসরের ইতিহাসে সিলেটের সর্বপ্রথম দৈনিক পত্রিকা দৈনিক সিলেটের ডাক এর স্বত্বাধিকারী প্রতিষ্টাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ছিলেন।উনার হাতে ধরেই সিলেটের দৈনিক পত্রিকার সূচনা হয়।১৮৭৫ সালকে সিলেটের সাংবাদিকতার সূচনাকাল হিসেবে ধরা হয়।১৮৭৫ সাল ভারতবর্ষ থেকে অভিবক্ত সিলেটের দুই প্রধান সাংবাদিক বিপিন চন্দ্র পাল এর "সাপ্তাহিক পরিদর্শক" এবং গৌরী শংকর তর্ক বাগিশ এর সম্পাদনায় সাপ্তাহিক পত্রিকা "সাপ্তাহিক সংবাদ ভাস্কর" প্রকাশিত হয়।
আজ সিলেট আজকাল এর সম্পাদক এর সাথে উনার সাক্ষাৎ হয়।শিক্ষনুরাগী একজন সুলেখক ও গবেষক এই মহান ব্যক্তি আমাদের সিলেটের উজ্জ্বল ও সফল ব্যক্তিদের মধ্যে অন্যতম।দক্ষিণ সুরমা উপজেলা নাজির বাজার এলাকার ঝাঁঝর গ্রামে ১৯৫৬ সালে জন্ম গ্রহণ করেন।চলুন জেনে নেই শ্রদ্ধেয় ফয়জুর রহমান স্যারের সাথে আমাদের কথোপোকথন যা আপনাদের জন্য তুলে ধরা হলো।
শিক্ষা জীবন:১৯৭২ সালে লালাবাজার হাই স্কুল থেকে এস এস সি পাশ করেন এবং ১৯৭৫ সালে মদন মোহন কলেজ থেকে এইচ এস সি পাশ করেন।বি এ সম্মান এমসি কলেজ থেকে ১৯৭৯ সালে অর্জন করেন।
পেশা জীবন:১৯৭৯ সালের জুলাই মাসে ঢাকা থেকে প্রকাশিত "দৈনিক দেশের" সিলেট বিভাগের প্রতিনিধি হিসেবে যোগদান করি।১৯৮৪ সালের জুলাই মাসে সিলেট বিভাগের প্রথম দৈনিক পত্রিকা সিলেটের ডাক আমার সম্পাদনা ও প্রকাশনায় প্রকাশিত হয়।১৯৮৭ সাল এর সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত আমি সিলেটের ডাক এর সম্পাদক ও প্রকাশক হিসেবে নিয়োজিত ছিলাম।অতঃপর ১৯৯৭ সালের ১ অক্টোবর থেকে ১৯৮৮ সালের ৩১ শে মার্চ পর্যন্ত সিলেটের ডাক এর প্রধান সম্পাদক ছিলাম।১৯৮২-৮৩ সালে সপ্তাহিক জালালাবাদ (বর্তমানে দৈনিক জালালাবাদ) এর সিলেটের বার্তা সম্পাদক হিসেবে নিয়োগ ছিলাম। আমি ১৯৮৪ সাল থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ টেলিভিশন এর বৃহত্তর সিলেট বিভাগের প্রতিনিধি ছিলাম।এখন আমি ১৯৯২ সাল থেকে প্রকাশিত দৈনিক সিলেটের সংলাপ এর স্বত্বাধিকারী,সম্পাদক এবং প্রকাশক হিসেবে বর্তমানে দায়িত্বরত আছি।
আমার লিখা ৮ টি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে তন্মধ্যে ২০০০ সালে প্রকাশিত "ব্রিটেনে বাংলাদেশী" উপমহাদেশে ব্যক্তি উদ্দ্যাগে এবং নিজ অর্থায়নে লিখা সর্ববৃহৎ গ্রন্থ,দীর্ঘ ৩৬ মাসের কঠোর পরিশ্রমে ব্রিটেন এর একশহর থেকে আরেক শহর ভ্রমণ করে আমার এই বইয়ের জন্য তথ্য সংগ্রহ করতে হয়েছে।ফরাসি তরুণ গবেষক ড:ডেভিড গার্বিন ২০০২ সালে রোহাম্পটন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আমার এই বইয়ের উপর পি এইচ ডি (গবেষণা) করেন।এই গ্রন্থের উপর বাংলাদেশে ১ টি এবং ব্রিটেন বিভিন্ন শহরে ৪০টি প্রকাশনা অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়।
বর্তমান প্রেক্ষাপটে সাংবাদিকতার পর্যালোচনা:এখন সাংবাদিক অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে কিন্তু এর গুনগত মান ও অপসাংবাদিকতার কারণে এই পেশার ছন্দ পতন হয়েছে।এর প্রধান কারণ হলো শিক্ষার অভাব এবং সমাজ ও দেশের কল্যাণের স্বার্থে কিছু না করে শুধু নিজ ব্যক্তি স্বার্থ কে প্রধান্য দেয়া।দেশ ও জাতির বৃহত্তর কল্যানের স্বার্থে এই অপসাংবাদিকতার অবসান হওয়া উচিত।
সাংবাদিকতার মূল উদ্দেশ্য কি হওয়া উচিত:১)সাংবাদিকতার মৌলিক নীতিমালা সমূহ তাকে অবশ্যই মেনে চলতে হবে।২)একজন সাংবাদিক কে হতে হবে এই পেশার প্রতি একজন নিবেদিত প্রাণ।৩)সমকালীন সমাজ রাষ্ট্র ও জন মানুষ সম্পর্কে তার স্বচ্ছ ধারণা থাকতে হবে।৪)সকল প্রকার লোভ লালসার উর্ধে থাকতে হবে।৫)সংবাদ রচনা ও পরিবেশনায় একজন সাংবাদিক কে অবশ্যই সব সময় নিরপেক্ষ থাকতে হবে।
আজ সিলেট আজকাল এর সম্পাদক এর সাথে উনার সাক্ষাৎ হয়।শিক্ষনুরাগী একজন সুলেখক ও গবেষক এই মহান ব্যক্তি আমাদের সিলেটের উজ্জ্বল ও সফল ব্যক্তিদের মধ্যে অন্যতম।দক্ষিণ সুরমা উপজেলা নাজির বাজার এলাকার ঝাঁঝর গ্রামে ১৯৫৬ সালে জন্ম গ্রহণ করেন।চলুন জেনে নেই শ্রদ্ধেয় ফয়জুর রহমান স্যারের সাথে আমাদের কথোপোকথন যা আপনাদের জন্য তুলে ধরা হলো।
শিক্ষা জীবন:১৯৭২ সালে লালাবাজার হাই স্কুল থেকে এস এস সি পাশ করেন এবং ১৯৭৫ সালে মদন মোহন কলেজ থেকে এইচ এস সি পাশ করেন।বি এ সম্মান এমসি কলেজ থেকে ১৯৭৯ সালে অর্জন করেন।
পেশা জীবন:১৯৭৯ সালের জুলাই মাসে ঢাকা থেকে প্রকাশিত "দৈনিক দেশের" সিলেট বিভাগের প্রতিনিধি হিসেবে যোগদান করি।১৯৮৪ সালের জুলাই মাসে সিলেট বিভাগের প্রথম দৈনিক পত্রিকা সিলেটের ডাক আমার সম্পাদনা ও প্রকাশনায় প্রকাশিত হয়।১৯৮৭ সাল এর সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত আমি সিলেটের ডাক এর সম্পাদক ও প্রকাশক হিসেবে নিয়োজিত ছিলাম।অতঃপর ১৯৯৭ সালের ১ অক্টোবর থেকে ১৯৮৮ সালের ৩১ শে মার্চ পর্যন্ত সিলেটের ডাক এর প্রধান সম্পাদক ছিলাম।১৯৮২-৮৩ সালে সপ্তাহিক জালালাবাদ (বর্তমানে দৈনিক জালালাবাদ) এর সিলেটের বার্তা সম্পাদক হিসেবে নিয়োগ ছিলাম। আমি ১৯৮৪ সাল থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ টেলিভিশন এর বৃহত্তর সিলেট বিভাগের প্রতিনিধি ছিলাম।এখন আমি ১৯৯২ সাল থেকে প্রকাশিত দৈনিক সিলেটের সংলাপ এর স্বত্বাধিকারী,সম্পাদক এবং প্রকাশক হিসেবে বর্তমানে দায়িত্বরত আছি।
আমার লিখা ৮ টি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে তন্মধ্যে ২০০০ সালে প্রকাশিত "ব্রিটেনে বাংলাদেশী" উপমহাদেশে ব্যক্তি উদ্দ্যাগে এবং নিজ অর্থায়নে লিখা সর্ববৃহৎ গ্রন্থ,দীর্ঘ ৩৬ মাসের কঠোর পরিশ্রমে ব্রিটেন এর একশহর থেকে আরেক শহর ভ্রমণ করে আমার এই বইয়ের জন্য তথ্য সংগ্রহ করতে হয়েছে।ফরাসি তরুণ গবেষক ড:ডেভিড গার্বিন ২০০২ সালে রোহাম্পটন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আমার এই বইয়ের উপর পি এইচ ডি (গবেষণা) করেন।এই গ্রন্থের উপর বাংলাদেশে ১ টি এবং ব্রিটেন বিভিন্ন শহরে ৪০টি প্রকাশনা অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়।
বর্তমান প্রেক্ষাপটে সাংবাদিকতার পর্যালোচনা:এখন সাংবাদিক অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে কিন্তু এর গুনগত মান ও অপসাংবাদিকতার কারণে এই পেশার ছন্দ পতন হয়েছে।এর প্রধান কারণ হলো শিক্ষার অভাব এবং সমাজ ও দেশের কল্যাণের স্বার্থে কিছু না করে শুধু নিজ ব্যক্তি স্বার্থ কে প্রধান্য দেয়া।দেশ ও জাতির বৃহত্তর কল্যানের স্বার্থে এই অপসাংবাদিকতার অবসান হওয়া উচিত।
সাংবাদিকতার মূল উদ্দেশ্য কি হওয়া উচিত:১)সাংবাদিকতার মৌলিক নীতিমালা সমূহ তাকে অবশ্যই মেনে চলতে হবে।২)একজন সাংবাদিক কে হতে হবে এই পেশার প্রতি একজন নিবেদিত প্রাণ।৩)সমকালীন সমাজ রাষ্ট্র ও জন মানুষ সম্পর্কে তার স্বচ্ছ ধারণা থাকতে হবে।৪)সকল প্রকার লোভ লালসার উর্ধে থাকতে হবে।৫)সংবাদ রচনা ও পরিবেশনায় একজন সাংবাদিক কে অবশ্যই সব সময় নিরপেক্ষ থাকতে হবে।