
বাড়িটি তালাবদ্ধ রয়েছে। স্থানীয় সূত্র জানায়, সোমবার বিকালে দক্ষিণ সুরমার সিলামের রিজেন্টপার্ক রিসোর্টে যায় চার যুবক। তারা একটি প্রাইভেট গাড়ি নিয়ে যায়। এ সময় তাদের সন্দেহ হলে তারা রুম নেই বলে জানিয়ে ওই চার যুবককে বিদায় করে দেয়। ওই চার যুবকের সঙ্গে একজন সাফাত থাকতে পারে বলে ধারণা করেন স্থানীয়রা। কারণ সাফাতের নানার বাড়ি দক্ষিণ সুরমা এলাকায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীর মামলা দায়েরের পর সাফাত নিজেকে রক্ষা করতে সিলেটে আসতে পারে। এ খবর পুলিশের কাছে যাওয়ার পর গোয়েন্দা অনুসন্ধান চালানো হচ্ছে বলে পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে। কিন্তু গতকাল বিকাল পর্যন্ত পুলিশ সাফাতের অবস্থান নিশ্চিত হতে পারেনি।
সতর্ক রয়েছে সিলেট
তামাবিল স্থলবন্দরে ইমিগ্রেশন পুলিশও। গতকাল বিকালে তামাবিল স্থলবন্দরে পুলিশ
কর্মকর্তা বিধান রায় জানিয়েছেন, সাফাত নামে কেউ গতকাল কিংবা
আগের দিন ওই বন্দর দিয়ে ভারত চলে যাওয়ার কোনো খবর তাদের কাছে নেই। সিলেট মহানগর
পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার জেদান আল মুছা গতকাল বিকালে
জানিয়েছেন, সাফাত সিলেটে অবস্থান করছে এরকম কোনো খবর তাদের
কাছে নেই। কিংবা এ বিষয়টি তাদেরকে অবগত করা হয়নি বলে জানান তিনি। একই কথা বলেছেন
সিলেট জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুজ্ঞান চাকমাও। তিনি বলেন, সাফাতের পিতার বাড়ি গোলাপগঞ্জের নগর গ্রামে বলে তিনি শুনেছেন। কিন্তু তাকে
গ্রেপ্তার করতে কোনো ‘মেসেজ’ তাদের
কাছে আসেনি। এ কারণে তারা এ ব্যাপারে কোনো অনুসন্ধান চালাননি। তবে পুলিশ সূত্র
জানিয়েছে, ঢাকার আসামিদের গ্রেপ্তারে ঢাকা পুলিশের টিম প্রায়
সময় সিলেটে অভিযান চালায়। কখনো কখনো তারা অভিযানের খবর সিলেট পুলিশকে দেয় আবার কখনো
দেয় না। ঢাকা দক্ষিণ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সেলিম আহমদ জানিয়েছেন,
স্বাধীনতার পর থেকে দিলদার আহমদ পিতার সঙ্গে বসবাস করছেন রাজধানী
ঢাকাতেই। নগর গ্রামে তাদের বাড়ি রয়েছে। মাঝে মধ্যে তারা বাড়িতে আসেন। সাফাত দু’এক দিনের মধ্যে বাড়িতে এসেছে তার কাছে এমন তথ্য নেই। তিনি গতকাল সকালেও
সাফাতদের বাড়িতে গিয়ে দেখেছেন দরজা তালাবদ্ধ রয়েছে। তিনি বলেন, সাফাত ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত থাকলে অবশ্যই তার শাস্তি হওয়া উচিত। এলাকার
মানুষও এ ঘটনায় ধিক্কার জানাচ্ছে। তিনি জানান, সাফাতের পিতার
হাঁকডাক রয়েছে এলাকায়। আর সাফাত বাড়ি এলে সবার সঙ্গে ভালো আচরণ করে। তিনি আরো
জানান, সাফাতের নানার বাড়ি সিলেট শহরতলীর দক্ষিণ সুরমায়।
সাফাত নানার বাড়িতে এসেছে কিনা সে ব্যাপারে কোনো তথ্য তার কাছে নেই।
গোলাপগঞ্জ থানার ওসি ফজলুল হক শিবলী জানিয়েছেন, সাফাত বাড়ি
এসেছে তাদের কাছে এমন কোনো খবর নেই। পুলিশ ইতিমধ্যে এ নিয়ে এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা
বলেছে। পুলিশ জেনেছে সাফাতদের বাড়ি তালাবদ্ধ রয়েছে। এরপরও পুলিশ ওই এলাকায়
গোয়েন্দা নজরদারি রেখেছে।