যুক্তরাজ্যে অবৈধভাবে বসবাসরত প্রায় ২০
হাজার বাংলাদেশীকে ফেরত পাঠাতে সরকারের সাথে সংলাপে বসছে যুক্তরাজ্য সরকার।
যুক্তরাজ্যের সঙ্গে বাংলাদেশের প্রথম স্ট্র্যাটেজিক সংলাপ আগামী ২৮ মার্চ
ঢাকায় অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এ সংলাপে নিরাপত্তা, অভিবাসন ও
ব্রেক্সিট-পরবর্তী বিষয়াদিসহ দ্বিপক্ষীয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট সব বিষয়ে আলোচনা
হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, যুক্তরাজ্য
কর্তৃপক্ষ দাবি করছে, ওই দেশটিতে প্রায় ২০ হাজার বাংলাদেশি অবৈধভাবে
অবস্থান করছে। যুক্তরাজ্য তাদের ফেরত পাঠাতে চায়। আসন্ন স্ট্র্যাটেজিক
সংলাপে যুক্তরাজ্যে অবৈধভাবে বসবাসকারী বাংলাদেশিদের ফেরত পাঠানোর ব্যাপারে
আলোচনা হতে পারে।
নাম
প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা জানিয়েছে, স্ট্র্যাটেজিক সংলাপ দুই দেশের
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পর্যায়ের বৈঠকের (এফওসি) অনুরূপ। তাই এ সংলাপে সব
বিষয়ই আসতে পারে। সংলাপে বাংলাদেশের পক্ষে পররাষ্ট্রসচিব মো. শহীদুল হক ও
যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র ও কমনওয়েলথ দপ্তরের আন্ডার সেক্রেটারি স্যার সাইমন
ম্যাকডোনাল্ড নেতৃত্ব দেবেন। সংলাপে বাংলাদেশ বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ও
ব্রেক্সিট-পরবর্তী করণীয় বিষয়ে গুরুত্ব দেবে।
জানা
গেছে, সংলাপে তিনটি পর্ব থাকবে। প্রথম পর্বে রাজনৈতিক, পররাষ্ট্রনীতি ও
২০৩০ সাল পর্যন্ত উন্নয়ন এজেন্ডা; দ্বিতীয় পর্বে ব্রেক্সিট ও এর সম্ভাব্য
প্রভাব, অর্থনৈতিক, বাণিজ্যিক, বিনিয়োগ, অভিবাসন এবং তৃতীয় পর্বে
নিরাপত্তা, বিমানবন্দরের নিরাপত্তা, সামরিক সহযোগিতা, সন্ত্রাসবাদ নিয়ে
আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে।
বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে
যুক্তরাজ্যে সরাসরি কার্গো যাওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। বাংলাদেশ মনে
করে, গত এক বছরে বাংলাদেশে বিমানবন্দরের নিরাপত্তাব্যবস্থায় যথেষ্ট
অগ্রগতি হয়েছে। তাই বাংলাদেশ প্রত্যাশা করছে, যুক্তরাজ্যে কার্গো
নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হবে। এ বিষয়টি নিয়ে আসন্ন সংলাপে আলোচনা হওয়ার কথা
রয়েছে।
এদিকে ব্রেক্সিটের ফলে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে
বাংলাদেশের বাণিজ্য সম্পর্ক ও বিদ্যমান সুবিধা কী হবে তা নিয়েও আসন্ন
সংলাপে আলোচনা হবে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সদস্য হিসেবে যুক্তরাজ্য
বাংলাদেশি পণ্যে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার সুবিধা দিয়ে থাকে। বাংলাদেশ চায়,
আগামীতেও এ সুবিধা অব্যাহত থাকুক।
সূত্র:ইন্টারনেট