মাদক আইনে দায়ের করা মামলায় গ্রেফতারকৃত ইমন দাস, মনিরুল ইসলাম ছাড়াও এজহার নামীয় আসামি হচ্ছে প্রভাত ও তানভির। এরা দুজনই পলাতক। পুলিশের কাছ থেকে হামলা চালিয়ে আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগে দায়েরকৃত মামলার এজহার নামীয় আসামিরা হলো- সাবেক মহানগর ছাত্রলীগের সহসভাপতি সুজেল আহমদ তালুকদার, সজীব আহমদ তালুকদার, ইমন দাস, মনিরুল ইসলাম, কামরুল ইসলাম, সৌরভ তালুকদার, সাহেদ আহমদ, জুবায়ের খান, মাসুদ আহমদ, সামসুজ্জামান ও সুমন পাল।
সিলেট মহানগরের কোতোয়ালি থানার ওসি (তদন্ত) নূরুল আলম জানান, পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কোতায়ালি থানাধীন ঝর্ণারপাড় এলাকা থেকে ৪৩ বোতল ফেন্সিডিলসহ একটি প্রাইভেটকার আটক করে।
তিনি আরও জানান, এসময় আসামিদেরকে ছাড়িয়ে নেওয়ার জন্য কয়েকটি মোটরসাইকেলে এসে পুলিশের উপর হামলা ও আসামি ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে ১৫-২০জন যুবক। এঘটনায় থানায় পুলিশ বাদী হয়ে থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেছে। মামলার ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের আসামি করা হয়েছি কিনা জানতে চাইলে তিনি এবিষয়টি তার জানা নেই বলে জানান।
পুলিশ এসল্ট মামলায় গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে জেলা ছাত্রলীগের নেতারা হলেন-মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি ও বর্তমানে জেলা যুবলীগ নেতা সুজেল আহমদ তালুকদার, বতর্মান জেলা ছাত্রলীগের তথ্য বিষয়ক সম্পাদক শামসুজ্জামান, জেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি শাহেদ আহমদ, জেলা ছাত্রলীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মাসুদ আহমদ, জেলা ছাত্রলীগের সদস্য সৌরভ তালুকদার।
প্রসঙ্গত, শনিবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সিলেট নগরের ঝর্ণার পাড়া এলাকায় ফেন্সিডিল ও প্রাইভেটকারসহ ইমন দাস (২৫) ও মনিরুল ইসলাম (২৪) নামের দুই যুবককে গ্রেফতার করে। এসময় পুলিশ প্রাইভেট কার নং (ঢাকা মেট্রো গ ১৪-৮৬৪০) ভেতর থেকে ব্যাগে থাকা ৪৩ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করে।
এদিকে গ্রেফতারকৃতরা সিলেটের তেলিহাওর গ্রুপের ছাত্রলীগের কর্মী হওয়ায় রাতেই খবর পেয়ে ৮-১০টি মোটরসাইকেলে করে মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সুজেল আহমদ তালুকদারের নেতৃত্বে ১৫-২০জন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা পুলিশের কাছ থেকে গ্রেফতারকৃতদের ছিনিয়ে নেয়ার জন্য পুলিশের ওপর হামলা চালায়।
