বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল দেশ.আমাদের দেশের
খামারি ও কৃষকদের অনেক প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যেও লালন পালন ও চাষাবাদের মাধ্যমে জীবিকা
নির্বাহ করতে হয়.আমাদের এই সকল খামারি ভাইয়েরা গুটি কয়েক শিক্ষিত শুধু মাত্র অভিজ্ঞতা
ও পরনির্ভরশীলতার মাধ্যমে উনারা এই কাজে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন.উনাদের সার্বিক জীবিকা
আহারের খরচ তা এই খামারের মাধ্যমেই যোগাইতে হয়.পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ ও উন্নতর খামার ব্যবস্থাপনার
মাধ্যমে তাদের কে অধিক লাভবান ও আরো স্বাবলম্বী করে গড়ে তুলা সম্ভব।
আজ আমাদের সিলেট আজকাল এর সম্পাদক বাংলাদেশ
সরকারি প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা মো:ইব্রাহিম মিয়া এর সাক্ষাৎ নিয়েছেন মো:ইব্রাহিম মিয়া
কথা বলেছেন কিভাবে ছাগল লালন পালনে অধিক লাভবান হওয়া যায় এবং কিভাবে ছাগলের পরিচর্যা
করতে হয়।
মো:ইব্রাহিম মিয়া সরকারি প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা
হিসেবে সিলেট সরকারি ছাগল উন্নয়ন খামার এ নিয়োজিত রয়েছেন.উনার গ্রামের বাড়ি ময়মনসিং
গ্রাম চর ভবানীপুর.বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্দালয় ময়মনসিং ২০০৯ সালে এনিমেল হাজবেন্ড্রী
এর উপর স্নাতক (সম্মান)
অর্জন করেন.এনিমেল হাজবেন্ড্রী প্রাণী লালন পালন ব্যবস্থাপনা,পশু খাদ্য,রোগ বালাই প্রতিরোধ,খামার ব্যবস্থাপনা,প্রজনন এই সবের উপর এই বিষয় আলোচনা করে।
অর্জন করেন.এনিমেল হাজবেন্ড্রী প্রাণী লালন পালন ব্যবস্থাপনা,পশু খাদ্য,রোগ বালাই প্রতিরোধ,খামার ব্যবস্থাপনা,প্রজনন এই সবের উপর এই বিষয় আলোচনা করে।
সিলেট এ যেভাবে প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা হিসাবে
যোগদান:৩০তম বি সি এস (প্রাণিসম্পদ) এর মাধ্যমে সরকারি হাঁস মুরগির খামার সিলেটে ২০১২
সালের জুন মাসে যুগদান করি.অতঃপর অক্টোবর ২০১৫ সালে সরকারি ছাগল উন্নয়ন খামার সিলেট
এ বদলি হয়ে যোগদান করি।
সরকারি ছাগল উন্নয়ন খামার এর উদ্দেশ্য: ব্ল্যাক
বেঙ্গল জাতের ছাগলের সংরক্ষন ও সম্প্রসারণ এই খামারের মুখ্য উদ্দেশ্য.আমরা দরিদ্র এবং
ভূমিহীন প্রান্তিক কৃষক ও খামারিদের সরকারি ভূর্তকি মূল্যে ছাগল এবং পাঠা বিতরণ করি.তাছাড়াও
খামার প্রতিষ্ঠা পরামর্শ প্রদান করি.উন্নত জাতের ঘাস বা কাটিং বিনামূল্যে বিতরণ করি.তাছাড়া
বহিরাগত ছাগী প্রতিটি ১০ টাকা মূল্যে প্রজনন করে থাকি।
ছাগল পালনে উপকারিতা: সরকারি ছাগল উন্নয়ন
খামার সিলেট থেকে ক্ষুদ্র বা প্রান্তিক কৃষক যারা ছাগল পালন করে থাকেন তাদের স্বল্প
মূল্যে ছাগল বিক্রয় করে থাকি.স্বল্প মূল্যে ছাগল ক্রয় করে খামারিরা সহজেই খামার প্রতিষ্ঠা
করতে পারে.ছাগল লালন পালনে খরচ কম তাছাড়া ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগলের রোগ বালাই ও কম.এরা
বছরে দুই বার বাচ্চাদেয়.ছাগলের বাজার চাহিদা ভালো।
ছাগলের রোগ বালাই নিয়ন্ত্রণ: ছাগলের পিপি আর
একটি মারাত্মক রোগ এই রোগের টিকা সাধারণত ছাগলের ৩/৪ মাস বয়স হলে দিতে হয় এবং পরিবর্তিতে
প্রতি ২/৩ বছর পরপর টিকা দিতে হয়.পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন খামার ছাগলকে শুকনো জায়গা বা মাচার
উপর রাখতে হবে.কৃমি নিয়ন্ত্রণ করতে হবে.বিশেষ কৃমির ঔষুধ আল বেন্দা জল,ট্রাইকো বেন্দা জল ছাগলের কৃমি হলে খাওয়াতে হবে.ছাগলের উন্নতমানের
চিকিৎসা রোগ বালাই ও কৃমি নিয়ন্ত্রণে সরকারি উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার কার্যালয়
পরামর্শ প্রদান করা হয়।
উন্নতমানের ছাগলের জাত: ব্ল্যাক বেঙ্গল এবং
যমুনা পারি ছাগল যা রাম ছাগল নামে পরিচিত এইগুলো আমাদের দেশি ছাগল এবং এইগুলা লালন
পালনে বেশি লাভবান হওয়া যায়.এইগুলো উন্নত মানের প্রজাতি এবং এইগুলো পালনে খরচ কম ও এদের
রোগ বালাই কম হয় তাই অধিক লাভবান হওয়া যায়।