
‘হাসন রাজা’ নাটকটি রচনা করেছেন সিলেটের তরুন নাট্যকার মোস্তাক আহমেদ এবং নির্দেশনায় রয়েছেন বাংলাদেশের প্রখ্যাত নাট্যনির্দেশক, নাট্যজন ইশরাত নিশাত। উল্লেখ্য, গত বছরের ১লা নভেম্বর ‘হাসন রাজা’র সফল মঞ্চায়ন হয় ইংল্যান্ডের বার্মিংহাম ম্যাক থিয়েটার হলে। ‘হাসন রাজা’ নাটক সম্পর্কে নাট্যকার মোস্তাক আহমেদ বলেন, বাংলার লোকিক সমাজে রামপাশা-লক্ষণশ্রীর জমিদার দেওয়ান হাসন রাজা চৌধুরী কিংবদন্তী হয়ে আছেন যুগ যুগ ধরে। এখনো তাকে ঘিরে নানাধরনের জনশ্র“তি আবহমান বাংলার লোকসমাজে। ভোগবিলাসের খোলস থেকে বেরিয়ে এসে এই সাধক কবি নিজেকে চিনিয়েছেন অন্যরূপে। তার সৃষ্টিকর্ম বাংলা লোকগানের পরিমন্ডলকে দিয়েছে এক নতুন ধারার সন্ধান। ‘হাসন রাজা’ একটি ঐতিহাসিক নাটক। গুণী নির্দেশক ইশরাত নিশাত ভিন্ন ভাবনায় নাটকটি উপস্থাপন করার প্রয়াস চালিয়েছেন। আশা করি নাটকটি আমেরিকার দর্শকদের মন জয় করে নেবে।
নাটকটিতে
অভিনয় করছেন বিপ্লব শেখ, সীতেশ ধর,এজাজ আলম,
জান্নাতুল
আরা জলি, নজরুল কবীর, রাসেল কবীর, শাম্মী আখতার
হেপী, আনোয়ারুল হক লাভলু,
ও
আশীষ রায় সহ প্রমুখ। সংগীতায়োজনে আছেন লুসি হাসান,মুক্ত ধর,
হামিদ
ইকবাল, সুব্রত দত্ত এবং সুতিপা চৌধুরী শম্পা। নাটকটির কোরিওগ্রাফীর ডিজাইন করেছে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ পারফর্মিং আর্টস (বিপা)।
‘হাসন রাজা’
নাটকের
ঘটনা প্রবাহ যেন এক বর্ণিল জমিদারের দিনপঞ্জি। প্রথম স্ত্রী
আজিজা বানু’র সাথে মান-অভিমান, প্রেমালাপ, মল্লিকপুরের
জমিদার গোবিন্দ বাবু’র সংগে
শত্রুতা, একাধিক বিয়ে, প্রজাবিদ্রোহ, মায়ের
সংগে অনাকাঙ্খিত ঘটনা পরবর্তী অনুশোচনা,
মুর্শিদের
অনুসন্ধান, ভোগবাদ পরিত্যাগ, মায়ের মৃত্যুসহ প্রত্যেকটি ঘটনা
নাট্যকার মোস্তাক আহমেদ অত্যন্ত মুন্সিয়ানার
সাথে বিন্যাস ঘটিয়েছেন। পুরো নাটকের ক্যানভাস জুড়ে একটি ব্যাপার
খুব স্পষ্টভাবে ফুটে ওঠে। আর তা হলো, হাসন-জীবনে তাঁর মমতাময়ী মায়ের প্রভাব। হাসন রাজার গর্ভধারিণী মা হুরমত জাহান বেগমকে
নাট্যকার অসাধারণ ব্যক্তিত্বসম্পন্না এক
দৃঢ়চেতা রমণী হিসেবেই অঙ্কন করেছেন।
নাটকে গানের প্রয়োগ প্রসঙ্গে বলতে গেলে বলতে হয়, সৌখিন বাহারের কবি হাসন রাজার পরিচয় গানেই। তাই নাট্যকার প্রকাশিত ও অপ্রকাশিত অনেক গান ব্যবহার করে নাটকের সাবলীল গতিময়তা অক্ষুন্ন রেখেছেন ধারাবাহিকভাবে। এবং ‘হাসন রাজা’য় বৈষ্ণব কবি রাধারমণ দত্তের দুটি গান নাট্যকার যুক্ত করেছেন খুবই প্রাসঙ্গিকতার আলোকে। মোস্তাক আহমেদ অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত নাটকের গীতল রীতি, অভিনবত্ব ও উপস্থাপন ভঙ্গি ধরে রাখতে পেরেছেন। অন্যদিকে, এক দৃশ্যের সঙ্গে অপর দৃশ্যের যোগসূত্র চমৎকারভাবে তৈরী করতে পেরেছেন। নাটকের সংলাপ রচনার ক্ষেত্রেও তিনি বাহাদুরি দেখিয়েছেন নি:সন্দেহে। মোস্তাক আহমেদ একজন দক্ষ নাট্যকার হিসেবে ইতিমধ্যেই দেশে বিদেশে বেশ সুনাম কুড়িয়েছেন তাঁর সৃষ্টিশীল কর্মযজ্ঞের মাধ্যমে। দেশের গন্ডি ছাড়িয়ে ইংল্যান্ডের ম্যাক থিয়েটার হল, আমেরিকার কুইন্স থিয়েটার, রাশিয়ার মস্কো থিয়েটারের মত বিশ্বখ্যাত থিয়েটার মঞ্চের সাথে জড়িয়ে পড়েছে মোস্তাক আহমেদের নাম। সময়ের এই তরুন নাট্যকারের সঙ্গে আলাপকালে জানা যায়, বর্তমানে তিনি বৈষ্ণব কবি রাধারমণ দত্তের জীবনী নির্ভর গীতিনাট্য ‘ভ্রমর কইও গিয়া’র স্ক্রিপ্ট নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। পাশাপাশি, হাসন রাজার নৃত্যনাট্যরূপ নিয়েও কাজ করছেন। নাট্যকার মোস্তাক আহমেদ ও ‘হাসন রাজা’র জয়রথ ছুটে চলুক নিরন্তর। বিশ্বদরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াক আমাদের লোকসংস্কৃতি।
নাটকে গানের প্রয়োগ প্রসঙ্গে বলতে গেলে বলতে হয়, সৌখিন বাহারের কবি হাসন রাজার পরিচয় গানেই। তাই নাট্যকার প্রকাশিত ও অপ্রকাশিত অনেক গান ব্যবহার করে নাটকের সাবলীল গতিময়তা অক্ষুন্ন রেখেছেন ধারাবাহিকভাবে। এবং ‘হাসন রাজা’য় বৈষ্ণব কবি রাধারমণ দত্তের দুটি গান নাট্যকার যুক্ত করেছেন খুবই প্রাসঙ্গিকতার আলোকে। মোস্তাক আহমেদ অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত নাটকের গীতল রীতি, অভিনবত্ব ও উপস্থাপন ভঙ্গি ধরে রাখতে পেরেছেন। অন্যদিকে, এক দৃশ্যের সঙ্গে অপর দৃশ্যের যোগসূত্র চমৎকারভাবে তৈরী করতে পেরেছেন। নাটকের সংলাপ রচনার ক্ষেত্রেও তিনি বাহাদুরি দেখিয়েছেন নি:সন্দেহে। মোস্তাক আহমেদ একজন দক্ষ নাট্যকার হিসেবে ইতিমধ্যেই দেশে বিদেশে বেশ সুনাম কুড়িয়েছেন তাঁর সৃষ্টিশীল কর্মযজ্ঞের মাধ্যমে। দেশের গন্ডি ছাড়িয়ে ইংল্যান্ডের ম্যাক থিয়েটার হল, আমেরিকার কুইন্স থিয়েটার, রাশিয়ার মস্কো থিয়েটারের মত বিশ্বখ্যাত থিয়েটার মঞ্চের সাথে জড়িয়ে পড়েছে মোস্তাক আহমেদের নাম। সময়ের এই তরুন নাট্যকারের সঙ্গে আলাপকালে জানা যায়, বর্তমানে তিনি বৈষ্ণব কবি রাধারমণ দত্তের জীবনী নির্ভর গীতিনাট্য ‘ভ্রমর কইও গিয়া’র স্ক্রিপ্ট নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। পাশাপাশি, হাসন রাজার নৃত্যনাট্যরূপ নিয়েও কাজ করছেন। নাট্যকার মোস্তাক আহমেদ ও ‘হাসন রাজা’র জয়রথ ছুটে চলুক নিরন্তর। বিশ্বদরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াক আমাদের লোকসংস্কৃতি।