
এবার জেলা পরিষদ নির্বাচনে টাকার খেলটা প্রকাশ্যেই হয়েছে। ভোটপ্রতি ১০ থেকে ৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত দিয়েছেন প্রার্থীরা। যারা নিরীহগোচের ভোটার তারা ভোট কেন্দ্রেই পোলিং এজেন্টদের সিল মারা ব্যালট দেখিয়েছেন। যারা দেখাননি তারাই শুধু টার্গেটে রয়েছেন।
এমন একজন প্রার্থীর নাম আব্দুল মালেক। তিনি রৌমারীর যাদুরচর মডেল কলেজের প্রভাষক। নির্বাচন করেছেন ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে। তার প্রতীক ছিল টিউবয়েল। তিনি কয়েকজন ভোটারকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা দিয়েছিলেন।
আক্ষেপ জানাতে গিয়ে সাংবাদিকদের নিকট তিনি বলেন, আমার নিজের ইউনিয়নে প্রতিজন ভোটারকে দিয়েছিলাম ১৩ হাজার করে। তারা টাকা নিলো কিন্তু ভোট দিলো না। এতবড় মোনাফেকী কেউ করে?’
ওই ইউনিয়নের ইউপি সদস্য আবু সামা বলেন, টাকা ১৩ হাজার নেইনি। কিছু কম আছে। কিন্তু আমি তো ভোট দিয়েছি। তারপরও আমার নিকট টাকা চাচ্ছে আব্দুল মালেক। এটা কি করে হয়! টাকা দেইনি বলে বাজারে প্রকাশ্যে অপমান করেছে আমাকে।
১৪ নম্বর ওয়ার্ডের মাহমুদা আক্তার স্মৃতি সংরক্ষিত মহিলা আসনে নির্বাচন করেছেন। তার প্রতীক ছিল মাইক। তিনি বলেন, প্রতি ইউনিয়নে ৬০ হাজার করে টাকা দিয়েছি। ভোটও পেয়েছি বেশ। কিন্তু নির্বাচিত হতে পারলাম না।
এর কারণ আমার নিজের ইউনিয়নের লোকজনই আমাকে ভোট দেয়নি। যারা টাকা নিয়েছে তারাই আমার সঙ্গে বেইমানি করেছে।