নিজস্ব প্রতিনিধি, রুপক চন্দ্র দাশ: ব্রাম্মনবাড়িয়ার নাসিরনগর, হবিগঞ্জের মাধবপুর, মনতলা, সুনামগঞ্জের ছাতক বাজার, মৌলভীবাজারের কামালপুর, ও বরিশাল সহ সারা দেশের বিভিন্ন স্থানের মঠ মন্দির হামলা, মূর্তি ভাংছুর, বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ, লুটপাট, নির্যাতনের প্রতিবাদে ০৬ই নভেম্বর রোজ রবিবার, দুপুরবেলা ২:০০ ঘটিকার সময় কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদেবাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্দ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ, বাংলাদেশ ছাত্রযুব ঐক্য পরিষদ, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা শাখা এক বিশাল মানব বন্ধন আয়োজন করে।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাছুম বিল্লাহ বলেন "কিছু মুষ্টিমেয় খারাপ প্রকৃতির লোক দেশে অস্থিতিশীল অবস্থা তৈরী করার জন্য সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা তৈরী করার চেস্টা করছে। কোন ধর্মই অন্য ধর্ম এর উপর আঘাত করাকে সমর্থন করে না। সম্প্রীতি যে ন্যক্কারজনক ঘটনাগুলো ঘটেছে, তা সত্যই লজ্জাকর। বাংলাদেশ সরকার তা কঠোর হস্তে দমন করছে। হামলাকারীদের কখনওই চাড় দেওয়া হবে না। তাদের আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। অবশ্যই তাদের বিচার হবে। আমরা সবাই ভাই ভাই এ দেশ সবার।
কোম্পানিগঞ্জ থানার ওসি বায়েস আলম বলেন "যারা সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা তৈরী করতে চায়, তাদেরকে কখনওই চাড় দেওয়া হবে না। সে যেই হোক না কেন, তাদের অবশ্যই আইনের আওতাভুক্ত করা হবে। বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িক দেশ,এখানে হিন্দু- মুসলিম - বৌদ্দ- খ্রিস্টান সবাই ভাই ভাই হিসেবে বসবাস করছি। আমাদের এই সম্প্রীতির বন্ধনে যারা আঘাত আনবে তাদেরকে রেহাই দেওয়া হবে না। আমাদের কোম্পানীগঞ্জে আমরা শান্তিতে আছি, শান্তিতে থাকতে ছাই। দেশের বিভিন্ন স্থানে মুষ্টিমেয় দুই একজন খারাপ লোক অপ্রিয়কর ঘটনা ঘটাচ্ছে, তার প্রভাব জেন সারা দেশে না পড়ে।
কোম্পানীগঞ্জ ছাত্রযুব ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রুপক চন্দ্র দাশ বলেন " সারা দেশে হিন্দুদের মঠ মন্দির, ও বাড়িঘরে হামলা, ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ, নির্যাতন এর প্রতিবাদে আমরা এই মানব বন্ধন করছি। আমাদের মধ্যে সামাজিক সম্প্রীতি বিদ্যমান। কিন্তু ইদানীংকাল যে কোন ইস্যুতেই হিন্দুদের উপর হামলা ও নির্যাতন হচ্ছে, বাড়িঘরে আগুন দিচ্ছে, মন্দির ভাংচুর করছে, লুটপাট করছে। কোন কারনের সত্যতা যাছাই ছাড়াই হামলা হচ্ছে। বিভিন্ন গোষ্টি তাদের উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য হিন্দুদের বলির পাঠা করছে। এটা সত্যিই হতাশাজনক। তাছাড়া জৈনিক মন্ত্রীর এই ধরনের উস্কানিমূলক বক্তব্য আমাদের মর্মাহত করেছে। আমরা প্রশাসনের সর্বাধিক সহযোগীতা চাই, ও ব্রাম্মনবাড়িয়া, হবিগঞ্জে,মনতলা, সুনামগঞ্জ এর ছাতক বাজার, ও বরিশালের ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাছুম বিল্লাহ, ওসি বায়েস আলম, বাংলাদেশ হিন্দু,বৌদ্দ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা শাখার সভাপতি শংকর দাশ, পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি নরেশ চন্দ্র দাশ, সাধারণ সম্পাদক হিমেল দাশ, ছাত্রযুব ঐক্য পরিষদের সভাপতি বিজয় সিংহ রিংকু, সাধারণ সম্পাদক রুপক চন্দ্র দাশ, হিন্দু বৌদ্দ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সহ-সভাপতি বংকবিহারী নাথ, শুরেশ সরকার, ড. সান্টু মজুমদার, মানবাধিকার কমিশনের বাপ্পি চৌধুরী, কোম্পানিগঞ্জ শিল্পকলা একাডেমীর সভাপতি শামীম আহসান, পূজা উদযাপন পরিষদের যুগ্ন-সম্পাদক প্রকাশ সরকার, বিকাশ দাশ।
এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ছাত্রযুব ঐক্য পরিষদের সহ-সভাপতি ড. বিশ্বজিত মন্ডল, জ্যোতির্ময় সরকার, সিতেশ চন্দ্র দাশ, যুস্ন-সম্পাদক রানু বিশ্বাস, প্রানেশ দাশ, সাংগঠনিক সম্পাদক সেন্টু দাশ, সুকুমার বিশ্বাস, তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক সুজিত চন্দ্র দাশ, শ্রী শ্রী গীতা সংঘের বিষনুপদ বনিক, প্রবিন্দ্র ঘোষ, রঞ্জন বাবু,রতন বনিক, কল্লোল মজুমদার, দীপজয় সরকার, শংকু চন্দ্র দে, নাম হট্টের সভাপতি ড. গোপাল চন্দ্র রায়, সাধারণ সম্পাদক চারু নিত্যানন্দ, শংকর সিকদার সবুজ, সান্টু চন্দ, সজল শীল, রুবেল দত্ত অনিক, রাজু চন্দ্র শীল, বিদ্যুৎ দেবনাথ, মিলন চন্দ্র শীল, লোকনাথ ভক্তব্রন্দ কল্যাণ পরিষদের সভাপতি নীল কুমার লাহরী, প্রাণকৃষ্ণ রায়, রাজিব রায়, বাধন, মানিক রায়, লিটন নাথ, লোকন শাহ, সত্য দেবনাথ, বসন্ত মন্ডল, ড. বিশ্বজিৎ মন্ডল, গোবিন্দ রায়, সঞ্জয় রায়, সুজন শীল, কাছন রায়, ডিজেন ভিমচক্র, সুজন সরকার, অনিক সহ অনেকেই উপস্থিত
ছিলেন।